Breaking News

প্রচ্ছদ > জাতীয়

নতুন পাওয়া রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন
নতুন পাওয়া রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান : প্রধানমন্ত্রী

২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা বিবেচনা করে নতুন দীর্ঘমেয়াদী রপ্তানি নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের পর যখন আমরা এলডিসি থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, আমরা কিছু সুযোগ পাব... আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের আরও উন্নয়ন করতে আমাদের সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’

আজ সোমবার (২০ মার্চ) গণভবনে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর লক্ষ্য হবে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে খাদ্যসামগ্রী আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আমরা খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করতে পারতাম। আমরা এর জন্য উদ্যোগ নিতে পারি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন এবং সেসব পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

সরকার রপ্তানি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এক বছরের ভিত্তিতে নীতির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী রপ্তানি নীতি প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্জনগুলো ধরে রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের কোনো বিকল্প নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার ২০২৪ পর্যন্ত রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করেছে, কিন্তু এর পর আমরা কী করব? ইতোমধ্যে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছি। আমি মনে করি আগামী দিনে আমরা কী করব বা আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব, তা বিবেচনা করার এটাই সঠিক সময়।’

বিশ্বব্যাপী বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে অর্থনীতির জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নির্ধারণের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সারাবিশ্বে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আমাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং প্রতিটি সেক্টরকে উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। কারণ সরকারের একার পক্ষে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রপ্তানি খাতের উন্নয়নের জন্য একটি কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং পণ্য চিহ্নিত করতে হবে। এজন্য আমরা একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি-২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে।’

প্রধানমন্ত্রী আইসিটি এবং ডিজিটাল ডিভাইস, আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও মাঝারি ওজনের শিল্প, মোটরযান ও ইলেকট্রনিক মোটরগাড়ির কথা উল্লেখ করে পণ্য বৈচিত্র্য আনার কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার দেশ-বিদেশের বিনিয়োগ নিয়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।’

সূত্রঃ এনটিভি

Leave a Comment

এই বিভাগের আরও খবর

Copyright 2016 All rights reserved easynews24.com. Published by Azmari Huq on behalf of Unity Media House. Website Developed By Star Design BD